আবেদনকারী মোসা: রানু বেগম , পিতা মৃতঃ আবুল খায়ের, গ্রাম- দুর্গপুর, ওয়ার্ড নং- ০৩, ডাকঘর- বিজয়পুর, উপজেলা- সদর দক্ষিণ, জেলা- কুমিল্লা এবং প্রতিবাদী মো: আবুল হোসেন পিতা- আজাহার আলী, গ্রাম- দুর্গাপুর, ওয়ার্ড নং- ০৩, ডাকঘর- বিজয়পুর, উপজেলা- সদর দক্ষিণ, জেলা- কুমিল্লা। আবেদনকারী মোছাঃ সারবানু বেগম একজন দু:স্থ্ বিধবা মহিলা । নিজের বসত ভিটা নাই খাস জমিতে তার বসত বাড়ি । চার ছেলেকে নিয়ে পাঁচ জনের সংসার । অন্যর বাড়িতে কাজ করে তার সংসার চালায় । এভাবে তার কিছু আয় হয় এবং কিছু সম্পদ করে ।
মো: আবুল হোসেন এর কাছ থেকে মোসা: রানু বেগম তার কন্যার বিবাহ উপলক্ষ্যে ০৮,০০০/- (আট হাজার) টাকা কিছু দিনের মধ্যে পরিশোধের কথা বলে হাওলাত নেয় । কিন্তু কিছু দিন পর উক্ত টাকা চাইতে গেলে মোসা: রানু বেগম আজ দিব কাল দিব বলে কালক্ষেপন করছে । মোছাঃ সারবানু বেগম নিরুপায় হয়ে এখানে ওখানে যায় কিন্তু কিছুই ফল পায় না । এমনকি বিভিন্ন দালালের খপড়ে পরে কোর্টে মামলা দেওয়ার জন্য কিছু টাকা হাতিয়ে নেয় দালালেরা । তখন মোছাঃ সারবানু বেগম কুলকিনারা কিছুই খুজেঁ পায় না । অবশেষে নিরুপায় হয়ে মোঃ আব্দুল হক লাল সিবিও সদেস্যর কাছে গিয়ে বিষয়টি জানান । তিনি তাকে ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে গ্রাম-আদালতে বিচার দেওয়ার জন্য পরামর্শ দেন । তখন মোছাঃ সারবানু বেগম ২৭/০১/২০১৪ ইং তারিখে ২ টাকা ফিস দিয়ে একটি ফৌজদারী মামলা দায়ের করেন । যাহার মামলা নং- ৬৪/২০১৩ ।
মামলার আবেদনকারী, প্রতিবাদী, সাক্ষী ও উভয় পক্ষের প্রতিনিধি গনের উপস্থিতিতে ১৪/০২/২০১৪ ইং তারিখে গ্রাম-আদালতের নিয়ম অনুযায়ী মামলার শুনানী অনুষ্ঠিত হয় । সাক্ষীর জবানবন্দী বিবেচনান্তে ও মামলার নথী পর্যালোচনায় গ্রাম-আদালত ৫:০ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় সর্ব সম্মতিক্রমে প্রতিবাদীকে ০৭ দিনের মধ্যে অর্থাৎ ২১/০১/২০১৪ ইং তারিখের মধ্যে পাওনা টাকা বাবদ ৩,৫০০/- (চার হাজার পাঁচশত) টাকা অত্র ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে আবেদনকারী বরাবরে প্রদান করার জন্য নির্দেশ দেন । প্রতিবাদীও গ্রাম আদালতের সিদ্ধান্ত মোতাবেক নির্ধারিত তারিখের মধ্যে ধার্যকৃত ৩,৫০০/- টাকা প্রদান করেন ।
আবেদনকারী তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আমি পায়ে হেঁটে ইউনিয়ন পরিষদে যাতায়াত করেছি এবং মাত্র ০২ টাকা খরচে গ্রাম আদালতে মামলা করে আমার পাওনা টাকা পেয়েছি । এই টাকা দিয়ে আমি কয়েকটি ছাগল ক্রয় করি । আসলে আমাদের মঙ্গলের জন্যই গ্রাম-আদালত । আজ যদি গ্রাম আদালত না থাকতো তাহলে, আমি আমার ন্যায্য বিচার ও আমার পাওনা টাকা পেতাম না । প্রতিবাদী তার ভুলের জন্য অনুসূচনা করে বলেন যে, সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য আসলেই গ্রাম আদালতের বিকল্প নেই । গ্রাম-আদালতের সিদ্ধান্তে আমি কৃতজ্ঞ । মো: আবুল হোসেন এর কাছে তাদের বর্তমান সম্পর্কের কথা জানতে চাইলে সে প্রতিত্তোরে বলেন, এখন তাদের উভয়ের মধ্যে সম্পর্ক পূর্বের ন্যায় ভাল ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস